শাখা সমূহ

আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ

ফিলিপস-ঝড়ের পর বোল্টের তাণ্ডবে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড যেন সেঞ্চুরি-প্রসবা! বাংলাদেশের বিপক্ষে এ মাঠেই সেঞ্চুরি করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো। আজ এখানে আরেকটি সেঞ্চুরি হলো, যেটি করেছেন নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস। ৬৪ বলে তাঁর ১০৪ রানের ইনিংসেই শ্রীলঙ্কাকে ৬৫ রানে হারিয়েছে কিউইরা। 

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় বিপদেই পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। সেই বিপদ তো ফিলিপস বাড়তে দেনইনি, বরং নিউজিল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন লড়াই করার মতো স্কোর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ভর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে নিউজিল্যান্ড। রান তাড়া করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। 

অথচ ম্যাচের শুরুটা এ রকম ছিল না। নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে ২ রান জমা হতেই মহীশ তিকসানার বলে আউট হয়ে ফেরেন কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন। তৃতীয় ওভারে অফ স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ফেরান নিউজিল্যান্ডের আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়েকে। এরপরই উইকেটে আসেন ফিলিপস। অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের সঙ্গে জুটি গড়ে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন। 

সেঞ্চুরির কাছাকাছি থাকতে বল ব্যাটে খেলতে না পারায় বেশ কয়েকবার এভাবে হতাশা প্রকাশ করেন গ্লেন ফিলিপস কিন্তু অধিনায়ককে খুব বেশি সময় পাশে পাননি ফিলিপস। কাসুন রাজিতার করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উইলিয়ামসন, নিউজিল্যান্ডের রান তখন ১৫। এরপর ফিলিপস জুটি বাধেন ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে ৬৪ বলে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। এর মধ্যে ৫৯ রানই ফিলিপসের, এই রান তিনি করেছেন ৪০ বলে।

মিচেলের আউটের পর জিমি নিশামের সঙ্গে ১৬ বলে ৩০ ও মিচেল স্যান্টনারের সঙ্গে ১৭ বলে ৩৩ রানের দুটি জুটি গড়েন ফিলিপস। তাঁর ইনিংসটি থামে শেষ ওভারে। এর আগে মেরেছেন ১০টি চার ও একটি ছক্কা। ফিলিপস বাকিদের চেয়ে কত বেশি ঝড় তুলেছেন, সেটা স্পষ্ট হয় নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে তাকালেই। ফিলিপসের ১০টি চারের বাইরে নিউজিল্যান্ডের বাকি ব্যাটসম্যানরা মিলে মারতে পেরেছেন মাত্র ২টি চার। তাঁর চারটি ছাড়া নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ছক্কা মাত্র একটি।

ফিলিপসের ঝড় সামলে রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কানরা পড়েছে ট্রেন্ট বোল্টের তোপের মুখে। বোল্টের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরুর দিকেই এলোমেলো হয়ে যায় লঙ্কান-ইনিংস। স্কোরবোর্ডে কোনো রান জমা হওয়ার আগেই টিম সাউদির বলে পাতুম নিশাঙ্কাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর উইকেট পড়ে ৪, ৫, ৮ ও ২৪ রানে। এই চারটি উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন বোল্ট। পরে আরও একটি উইকেট নিয়ে ম্যাচে তাঁর বোলিং ফিগারটা এ রকম-৪ ওভার, ১৩ রান, ৪ উইকেট।

বোল্টের এমন তাণ্ডবের পরও শ্রীলঙ্কা যে ১০০ রান পেরোতে পারল, তা ভানুকা রাজাপক্ষের ২২ বলে ৩৪ আর অধিনায়ক দাসুন শানাকার ৩২ বলে ৩৫ রানে ভর করেই। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্যান্টনার ও সাউদি।

Comments

    Report

    Please Select a problem
    If someone is in immediate danger, get help before reporting to us. Don't wait.