রুশ হামলার কারণে ৪০ লাখ মানুষ অন্ধকারে: জেলেনস্কি
বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ জ্বালানি স্থাপনায় রাশিয়ার হামলার কারণে ৪০ লাখ ইউক্রেনীয় লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ কথা বলেন। খবর বিবিসির।
রাজধানী কিয়েভে লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে বলে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। চার ঘণ্টারও বেশি সময় লোডশেডিং হতে পারে।
এলাকাভিত্তিক এই লোডশেডিং রেশনিং শুধু কিয়েভ নয়, নিপ্রো শহরসহ ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলও একই ধরনের লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘৪০ লাখ মানুষ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে। কিন্তু গোলাবর্ষণ আমাদের দুর্বল করতে পারবে না।’
চলতি মাসে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও ইরানের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালানো হয়। জেলেনস্কি বলেছেন, দেশের এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে।
বেসরকারি জ্বালানি কোম্পানি ডিটিইকে বলেছে, কিয়েভ অঞ্চল ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক সক্ষমতা হারিয়েছে। ফলে ‘নজিরবিহীন’ লোডশেডিং দেওয়ার দরকার হবে।
ডিটিইকে পরিচালক দিমিত্রো সাখারুক বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিধিনিষেধের মাত্রাটা লক্ষণীয়, আগে যতটা ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি।’
লোডশেডিংয়ের মানে হলো বাসাবাড়িতে ভোগান্তি। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বাঁচাতে সড়কবাতি এবং বিদ্যুৎ–চালিত গণপরিবহনেও কাটছাঁট করতে হবে।
রাশিয়ার গোলাবর্ষণের ফলে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে দীর্ঘ সময় লোডশেডিং থাকছে। পাশাপাশি মধ্যাঞ্চলীয় শহর জাইতোমির, পোলতবা এবং চেরনিহিভের পরিস্থিতিও একই।
৯ অক্টোবর রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার একমাত্র সংযোগ সেতু কার্চ ব্রিজে বোমা হামলা চালানো হয়। এরপর থেকে প্রতিশোধ হিসেবে ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা জোরদার করে রাশিয়া।
Comments