শাখা সমূহ

মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক

যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি নিয়ে আশাবাদী বাণিজ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রে অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা (জিএসপি) পেতে বাংলাদেশ সরকার দরকারি সবকিছু করেছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দেবে বলে আশাবাদী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। 

বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের কর্মকর্তা অরুণ ভেঙ্কটরমন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে একই হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত বাণিজ্য মেলার (ইউএস ট্রেড শো) উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। 

বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে তারা তুলাসহ (কটন) বেশ কয়েকটি বিষয়ে আমাদের অবহিত করেছেন। আমরাও জিএসপিসহ কিছু বাণিজ্যিক সুবিধা নিয়ে কথা বলেছি। আমি মনে করি, জিএসপি সুবিধা পেতে যা যা করা প্রয়োজন ছিল, তা পূরণ করতে পেরেছি। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের জানিয়ে আমরা জিএসপির বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ করেছি। তাঁরা বিষয়টি যাচাই করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির বিষয়েও বৈঠকে কথা হয়েছে বলে জানান টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘তুলার ব্যাপারে খোঁজ নিতে আমাদের একটি প্রতিনিধিদল শিগ্‌গিরই যুক্তরাষ্ট্রে যাবে। তুলা আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়নে যেসব সমস্যা হয়, তা–ও দেখবে তারা। আর আগামী মাসে টিকফার (বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি) সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা হবে।’

পরে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের প্রধান রপ্তানি বাজার। দেশটিতে তৈরি পোশাকের রপ্তানি ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, আমদানিও প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এখন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যসেবা কার্যালয় স্থাপনের ফলে দুই দেশের ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।’

এর আগে একই অনুষ্ঠানে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে বাণিজ্যিক সেবা কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক ও দেশীয় বাণিজ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালক অরুণ ভেঙ্কটরমন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অরুণ ভেঙ্কটরমন জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য আরও সহজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে বাণিজ্যিক কার্যালয় খোলা হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে দুই দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে। 

অ্যামচেম আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বাণিজ্য মেলা চলবে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত। মেলায় ৪৪টি কোম্পানি শতাধিক পণ্য ও সেবা উপস্থাপন করছে।

Comments

    Report

    Please Select a problem
    If someone is in immediate danger, get help before reporting to us. Don't wait.