শাখা সমূহ

সিত্রাংয়ে ভেসে আসা মহিষ মালিকদের কাছে হস্তান্তর শুরু

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উচ্চ জোয়ারে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে সন্দ্বীপ চ্যানেল দিয়ে সীতাকুণ্ড উপকূলে ভেসে আসা মহিষগুলো মালিকদের কাছে হস্তান্তর শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ শনিবার উপজেলার কুমিরা নৌঘাটে প্রথম ধাপে মালিকদের কাছে ৪৬টি মহিষ হস্তান্তর করা হয়।

এখনো প্রশাসনের জিম্মায় আছে ১১৫টি মহিষ। কাল রোববারও হস্তান্তরপ্রক্রিয়া চলবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে নিজেদের মহিষ হাতে পেয়ে খুশি মালিক-রাখালেরা। মহিষ হস্তান্তরে অন্যান্য উপজেলার তুলনায় সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসনের ভূমিকায় তাঁরা খুবই সন্তুষ্ট।


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূলে ভেসে এসেছে মহিষের পাল। আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের সাগর উপকূলে একটি জাহাজভাঙা কারখানায় 
মহিষমালিক শরীয়তুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ১০টি মহিষ হারিয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে সাতটি মহিষ ফেরত পেয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের কড়া নজরদারির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। তিনটি মহিষ না পেলেও প্রশাসনের তৎপরতায় তিনি খুবই সন্তুষ্ট। তিনি যে সাতটি মহিষ ফেরত পাবেন, সেটা কল্পনাও করেননি। তাঁর একেকটি মহিষের দাম ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বলে জানান তিনি।

আলতাফ হোসেন নামের আরেক মালিক বলেন, ৪০টি মহিষের মধ্যে ১১টি মহিষ উদ্ধার হয়েছে। অন্য মহিষগুলো খুঁজছেন তাঁরা। কিছু মহিষ মারা যেতে পারে। আবার কিছু মহিষ স্থানীয় লোকজন খেয়ে ফেলেছেন বলে শুনেছেন। তবু উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতার কারণে কিছু মহিষ তো খুঁজে পেয়েছেন। অন্যথায় এত মহিষ এত দিন জীবিত থাকত না।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সীতাকুণ্ডে মহিষ ভেসে আসার খবর পেয়ে তিনি দ্রুত সেগুলো চেয়ারম্যানদের জিম্মায় নিয়ে তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারী ও সলিমপুর ইউনিয়ন থেকে পাওয়া তালিকায় ১৬১টি মহিষের সন্ধান পান। এরপর মালিক ও রাখালেরা তাঁর কাছে আসার পর সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও প্রমাণপত্র সাপেক্ষে আজ বিকেল থেকে মহিষগুলো হস্তান্তরের কাজ শুরু করেন। প্রথম দিনে মালিকদের কাছে ৪৬টি মহিষ হস্তান্তর করেন। তাঁরা স্বচ্ছভাবে মহিষগুলো মালিকদের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পরদিন নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে সন্দ্বীপ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সীতাকুণ্ড উপকূলে প্রায় দুই শতাধিক মহিষ ভেসে আসে। এর মধ্যে কিছু মহিষ আসার সময় মারা যায়। আবার কিছু মহিষ জবাই করে স্থানীয় বাসিন্দারা ভাগাভাগি করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে।

Comments

    Report

    Please Select a problem
    If someone is in immediate danger, get help before reporting to us. Don't wait.