মেঘনা নদীতে নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার
নরসিংদীতে মেঘনা নদীর একটি চরে পিকনিকে গিয়ে নদীতে নেমে নিখোঁজের ৪১ ঘণ্টা পর মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও করিমপুর নৌ ফাঁড়ি পুলিশ।
লাশ উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসাছাত্রের নাম শহীদুল ইসলাম (১৭)। সে রায়পুরা উপজেলার বড়ইতলা গ্রামের হারুণ মিয়ার ছেলে। এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে গালিব হক (১৫) নামের এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে পলাশ উপজেলার দড়িহাওলাপাড়া গ্রামের সংবাদপত্রের এজেন্ট আজিজুল হকের ছেলে।
শহীদুল ও গালিব নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া এলাকার মোহাম্মদীয়া ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, এরশাদুল হুজুর ও সাইফুল্লাহ হুজুর নামের মাদ্রাসার দুই শিক্ষক গত বৃহস্পতিবার সকালে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ৩২ জন ছাত্র নিয়ে পিকনিক করতে আফজাল সাহেবের চরে গিয়েছিলেন। সারা দিন আনন্দ করার পর বিকেলে কয়েক ছাত্র শিক্ষকদের না জানিয়ে নদীতে গোসল করতে নামে। গোসল শেষে সবাই নদী থেকে উঠে এলেও গালিব ও শহীদুল আসছিল না। প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষার পর তাদের খোঁজ না পেয়ে শিক্ষকেরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানান।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে খবর পেয়ে করিমপুর নৌ ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। রাত আটটা পর্যন্ত ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশে অভিযান চালিয়েও তাদের উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। পরদিন প্রায় ২০ ঘণ্টা পর গতকাল দুপুরে গালিবের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। আজ সকালে আবার অভিযান শুরু করলে বেলা ১১টার দিকে ভেসে ওঠা শহীদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
করিমপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক ফরিদুল আলম জানান, উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসাছাত্র শহীদুলের লাশ তার পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল উদ্ধার হওয়া গালিবের লাশও বিনা ময়নাতদন্তে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Comments